‘আলো আসবেই’
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
২১-১২-২০২৪ ০৩:০৭:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-১২-২০২৪ ০৩:০৭:৪৭ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি এখন বিপাকে পড়েছেন। আওয়ামী লীগপন্থি এই অভিনেত্রী 'আলো আসবেই' নামে একটি বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বেশ সক্রিয় ছিলেন, যা তাকে আরও সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
'আলো আসবেই' গ্রুপের বেশিরভাগ 'শিল্পী' এখন সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে জ্যোতিকা জ্যোতি এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন। সরকার পতনের পর তিনি আবারও শিল্পকলা একাডেমিতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই সময় ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থাকা শিল্পীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, 'চাকরি থেকে ছাড়ানো হলো, আফসোস নাই । কিন্তু — এক সিনেমায় কাস্টিং করল, পরিচালক বাসায় এসে গল্প শোনালেন, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুটিং। চরিত্র নিয়ে ভাবনা শুরু হলো, অনেকদিন পর শুটিং করব, ভালোলাগা শুরু হলো। অফিসিয়াল ফরমালিটিস কমপ্লিট করতে হবে এমন কথা হলো, তার ৩ দিন পরই পত্রিকায় দেখলাম এক বিদেশি অভিনেত্রীকে কাস্টিং করা হয়েছে আমার জায়গায়!'
'ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হবে, সেখানে কোনো না কোনো দায়িত্বে থাকার কথা ছিল। আগেও ছিলাম। পরে শুনলাম দায়িত্ব তো দূরের কথা, ফেস্টিভ্যালে আমি না গেলেই নাকি ভালো! এক আপার মেয়ের বিয়ে। গায়ে হলুদ, রং খেলা, বিয়ে, বউভাত। কতশত প্ল্যান! আরেক আমন্ত্রিত অভিনেত্রী গেস্ট বললেন জ্যোতিকা জ্যোতি এলে তিনি আসবেন না-যোগ করেন তিনি।
এখন নিজের বাসস্থান নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন জানিয়ে জ্যোতি আরও লিখেছেন, 'এপ্রিলে এক নতুন বাসায় শিফট করলাম। আমার কুকুর আছে বলে নিলাম। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করলেন কোনো সমস্যা নেই। বরং আমার পরিচয় তার বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে তাকে আরও গর্বিত করবে বলে জানালেন। জুলাইয়ে যখন দেশে তুমুল গণ্ডগোল তখন বড়িওয়ালা বললেন আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব তার। আগস্টের ৬ তারিখ জানালেন, আমাকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাই আমি যেন কুকুর নিয়ে বাসার নিচে না যাই। তবে তার কথায় মনে হলো বাসা ছেড়ে দিলেই ভালো।'
অবশেষে বাড়িওয়ালা একদিনের নোটিশে বের করে দিলেন উল্লেখ করে জ্যোতি লিখেছেন, '১৬ আগস্ট আমাকে ফোন করে বললেন আমি যেন আগামীকালই বাসা ছেড়ে দিই। তিনি কিছুতেই আমাকে সময় দিতে রাজি না। এক দিনের মধ্যে ওই বাসায় মালপত্র রেখে আমি আমার কুকুর নিয়ে একটি গেস্ট হাউজে প্রায় ১৩ দিন থেকে নতুন বাসা নিলাম। আমার এক বন্ধুকে পাঠিয়ে মালপত্র সরালাম দিন দশেক পর। কিন্তু তিনি আমার ২ মাসের এডভান্স ফেরত দিলেন না। এগুলো আসলে কি? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না! এসব পোহাতে হবে কতদিন??? নাকি দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে?'
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জ্যোতি আওয়ামী লীগের দলীয় পদের পাশাপাশি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকের পদেও ছিলেন। তবে সরকার পরিবর্তনের পর শিল্পকলার চাকরি হারাতে হয়েছে তাকে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স